Like Us

Sunday, August 18, 2013

DURGESHNANDINI

দুর্গেশনন্দিনী ও কিছু প্রাপ্তি
'দুর্গেশনন্দিনী' ফিরে দেখা বললে অনেকে অনেক রকম করে খুঁজে নেবেন। 'নৌটঙ্কি কলকাতা'-র সদস্য হিসেবে আমাদের ফিরে দেখাটাও আবার আমাদের নিজেদের মতো করেই। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে বিচ্ছিন্ন নয়। একদম সংক্ষেপে, ইতিহাসে হাঁটতে হাঁটতে উনিশ শতকীয় সমাজ-চেতনার স্বাদগ্রহণ। সঙ্গে পালক হিসেবে যুক্ত হয়েছে, বিদেশি প্রসেনিয়াম থিয়েটাররূপের বাড়বাড়ন্তের সময়ে বাংলার আদিনাট্যরূপগুলোর সঙ্গে নিজেদের জানা-না জানা ঝালিয়ে নেওয়া। সব মিলিয়ে দুর্গেশনন্দিনী নিয়ে আমাদের প্রতিদিনের মহলা, মহলায় উঠে আসা প্রতিবাদ, সেই সমাজটাকে খানিক খানিক বোঝার প্রচেষ্টা, প্রসেনিয়ামের ভিতর বাংলার কথা কওয়া নাট্যরূপ তুলে ধরার প্রস্তুতি মোটামুটি ভালই এগোচ্ছিল। সেই যাত্রাপথে একটা বুকমার্ক হিসেবে আমাদের ১১ আগস্টের ওয়র্কশপ। আমাদের পরিচালক অভিষেকদার আশ্বাসমতে, আমরা দুর্গেশনন্দিনীর যাত্রাপথে অনেক কিছুই হঠাৎ পড়ে পাব। প্রথম পাওয়া শুরু হল গৌড়ীয় নৃত্যের কৃতী মানুষ অধ্যাপিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায়ের কাছে সারাদিনের কর্মশালা। গৌড়ীয় নৃত্যের কর্মশালা হলেও, আমাদের আদুরে-অনভ্যস্ত শরীরে সেদিনটা একটু ভেঙেচুরে ঝালিয়ে নেওয়ারই ছিল।
নাটকের কাজে আবার নাচের ওর্য়কশপ? এই বিতর্কের অবসান মহুয়াদি নিজেই করেছেন। ৬৪ কলার প্রত্যেকটি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই একের সঙ্গে অন্যের যোগ কিভাবে, কিরূপে তা জানলাম মহুয়াদির কাছে। পাশাপাশি অন্য রকম ফর্মে দুর্গেশনন্দিনীকে কীভাবে উপস্থাপনা করা যায়, সে নিয়ে এতদিন অভিষেকদা যা বলত, তার একটা ছবিও বোধহয় আমরা দেখতে পেলাম। বাংলার কলা, ভাস্কর্য, প্রাচীন কথায় লেপ্টে থাকা নাচের অনুষঙ্গ তাই নাটকের মতো জনযাপনের ফর্মে আসতে তো বাধ্য। প্রথম দিনের কর্মশালায় আমাদের বিস্ময়াবিষ্কারই ছিল প্রাপ্তি। দুর্গেশনন্দিনী এমন কত প্রাপ্তির ঝুলি নিয়ে সান্টাক্লজের মতো অপেক্ষা করছে কে জানে!